শিরোনাম

আবহাওয়া অফিসে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

weather news
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যে, ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে। এই সতর্কতা বুধবার সন্ধ্যার থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মেয়াদ পেতে থাকবে। জানা গেছে যে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, এবং বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা এখন ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে।

অধিদপ্তর একইভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যে, তাপপ্রবাহের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও মেঘলা দেখা যেতে পারে, এবং আকাশে মেঘলা একটি সম্ভাবনা। তাছাড়া, দেশের পাঁচটি বিভাগের ওপর দিয়ে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত হয়েছে যে, মে মাসের ২১ তারিখের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এছাড়াও, বৃহস্পতিবারে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে যে, ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বুধবার সন্ধ্যার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রকাশ করা হবে। এ সময়ে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে মৃদু তাপপ্রবাহ প্রকাশ করা হবে, এবং ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি কম তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রকাশ করা হবে। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে, তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

বৃহস্পতিবারে সন্ধ্যার মধ্যে সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী

ভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ হার্ডলে, দেশের অন্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক আবহাওয়া প্রধানত বিদ্যমান থাকবে। বৃহস্পতিবারে সন্ধ্যার থেকে শুক্রবারের সন্ধ্যার মধ্যে, রংপুর, ময়মনসিংহ, এবং সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশের বৃহত্তর অঞ্চলে ৫ দিনের মধ্যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এবং এ সময়ে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষার অবস্থার প্রারম্ভিক প্রস্থান পশ্চিম বঙ্গে হয়েছে এবং এটি উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়াচ্ছে।

আগামী ২০ মে পর্যন্ত সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এবং এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, এবং গভীর নিম্নচাপের ধাপ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

No comments